শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

খুলনায় মোমিনুল এবং মিয়া রব নামের সদর থানা পুলিশের দুই উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। মহানগরীর ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বুধবার (০৩ মার্চ) রাতে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।  

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সদর থানা পুলিশের দুই এসআই যাচাই-বাছাই না করে সমাবেশে বাধা দেওয়ায় প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে বিকেলে খুলনায় বিএনপি অফিসের সামনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিএনপির মহানগর ও জেলা অফিসের সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে খুলনা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।  

নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, আওয়ামী লীগ ও পুলিশ নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। এই বক্তব্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

তিনি বলেন, প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ বুধবার নগরীর হেলাতলা থেকে শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি হেলাতলা থেকে থানার মোড় হয়ে সোসাইটির মোড়ে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা আমাদের। কিন্তু থানার মোড়ে যানজট থাকায় কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি অফিসের আগে সমাবেশ শুরু করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন আরও বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচির অনুমতি নেন। এরপরও পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। পরে ভুল হয়েছে বলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

মোহাম্মদ মিলন/এএম