লক্ষ্মীপুরে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি দুই ফুট দূরে স্থানান্তর করা নিয়ে দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত

লক্ষ্মীপুরে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি দুই ফুট দূরে স্থানান্তর করা নিয়ে দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ নিয়ে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের চরশাহী গ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবার (০৩ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের আবদুস সালামদের জমিতে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি স্থাপন করা হয়। খুঁটিটি দুই ফুট দূরে সরিয়ে বাড়ির রাস্তার পাশে নিতে সকল ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু খুঁটি স্থানান্তরের সময় বাধা দেন একই এলাকার সিরাজ উদ্দিন মিয়াজী ও নেছার উদ্দিনসহ তাদের লোকজন।

এ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। পরদিন বাড়ির সামনের চা দোকানে সালাম বসে ছিলেন। হঠাৎ নেছার ও সিরাজসহ তাদের লোকজন এসে সালামের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সালামকে আহত করেন। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। বর্তমানে সালাম চিকিৎসাধীন। একই রাতে সিরাজকেও পিটিয়ে আহত করেন সালামের লোকজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের তিনজন তরুণ জানান, সিরাজের লোকজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা প্রভাবশালী। খুঁটি নিয়ে সালামদের সঙ্গে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে সংঘর্ষে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বোরহান উদ্দিন বলেন, সিরাজ ও নেছাররা বিদ্যুতের খুঁটি আমাদের জমিতে স্থাপন করেছে। আমার খুঁটি দুই ফুট সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আবেদন করেছি। স্থানান্তর করা জমিও আমাদের। কিন্তু এতে তাদের লোকজন বাধা দিচ্ছে। একপর্যায়ে আমার ভাইকে কুপিয়েছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নেছার উদ্দিন বলেন, সালামরা খুঁটিটি রাস্তায় স্থানান্তরের চেষ্টা করছে। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। হামলায় দুজন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খুঁটি স্থানান্তরের চেষ্টা করলে আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠাব।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল হক বলেন, মারামারির ঘটনাটি নিয়ে একপক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এএম