বাঘ শিকারি পচাব্দী গাজীর বন্দুক দেখছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের বিখ্যাত বাঘ শিকারি পচাব্দী গাজীর বন্দুক দেখলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম। বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে শ্যামনগর থানা পরিদর্শনকালে তিনি সেই বন্দুকটি দর্শন করেন।

এর আগে হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আসেন বিজিবি মহাপরিচালক। এ সময় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও বিজিবির নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন চৌধুরী তাকে স্বাগত জানান।

বিজিবির নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন চৌধুরী বলেন, ‘ডিজি স্যার থানা পরিদর্শন করেছেন। মূলত তিনি থানা পরিদর্শনের জন্য আসেন। আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি একটি বন্দুক দেখেছেন। তবে বন্দুকটির ব্যাপারে আমি বিস্তারিত জানি না। এ ছাড়া নীলডুমুর বিজিবি দপ্তরও তিনি পরিদর্শন করেন।’

শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, শ্যামনগর থানায় একটি লাইসেন্স করা প্রাচীন বন্দুক রয়েছে। বন্দুকটি দিয়ে বাঘ শিকার করা হতো। সেই বন্দুকটি দেখার জন্য এসেছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক। এই বন্দুক দিয়ে বাঘ শিকার করা করতেন এক শিকারি।

প্রসঙ্গত, বাঘ শিকারি পচাব্দী গাজী এই বন্দুক দিয়ে ৪২টি বাঘ হত্যা করেছিলেন। মানুষখেকো বাঘ হত্যা করায় পচাব্দী গাজী বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার পেয়েছিলেন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পচাব্দী গাজীকে বেঙ্গল টাইগার নামে অভিহিত করে। তার মৃত্যুর পর বন্দুকটি উত্তরাধিকার সূত্রে তার ছেলে আবুল হোসেনের কাছে রক্ষিত থাকে। তবে বন্দুকটির লাইসেন্স নবায়ন না করার কারণে শ্যামনগর থানার অস্ত্রাগারে রাখা হয়। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বন্দুকটি থানায় রয়েছে।

আকরামুল ইসলাম/এমএসআর