রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিএমকে শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারেন। আর এর পেছনে রাজনীতি দেখছেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম এলাকায় ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রেরর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্তের দাবি করেন তিনি। 

বাদশা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। প্রতিটি হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক। এসবের পেছনে মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের জড়িত থাকার প্রমাণ আছে। এটা দুর্ঘটনা, নাকি আত্মহত্যা, নাকি হত্যা তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত হতে হবে।

হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাদশা বলেন, আগামী ২৬ অক্টোবর হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির বৈঠক আছে। আমরা সেই বৈঠক থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানাবো। প্রয়োজনে মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে।

ফজলে হোসেন বাদশার বিরুদ্ধে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ নিয়ে রাবি ছাত্রদের দুষ্কৃতিকারী বলার অভিযোগ এনেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক এই ভিপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

এই প্রসঙ্গে বাদশা বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অংশ। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে রাকসুর ভিপির তালিকা থেকে তার নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। শিগগির ক্যাম্পাসে গিয়ে সমাবেশ করার কথাও জানান বাদশা।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএএস