বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর জন্য পিরোজপুরে প্রস্তুত করা হয়েছে ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার। যেখানে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।

এছাড়া ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে, যেখানে আরও ১ লাখ ২৮ হাজার ২৫০ জন মানুষ বিপদের সময় আশ্রয় নিতে পারবে। তাদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মেঃটঃ চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক সাইফ-মিজান সভাকক্ষে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর জন্য পিরোজপুরে দুপুর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে ঝড়ো বাতসের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পিরোজপুরসহ ঝালকাঠী, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ ১৯টি জো এই ঘূর্ণিঝড় ঝুঁকিতে রয়েছে।  

সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, তাদের মোট ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত যোগান তাদের রয়েছে।

এদিকে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া ইন্দুরকানী উপজেলার টগরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ২৩ কিঃমিঃ বেড়িবাঁধ অরক্ষিত আছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী. মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঠবাড়িযার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাঙন এলাকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০ কিঃমিঃ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের হাতে বেশ কিছু জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে যা জরুরি কাজের সময় ব্যবহার করা যাবে।

আবীর হাসান/এমএএস