ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৪০১ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে নিজ সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। 

জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খুলেছি। সেইসঙ্গে উপকূলে ৮ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মেডিকেল টিম, সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা দোয়া করি যেন আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। কোনো ধরনের অসুবিধা হওয়া বা হওয়ার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত থাকব।  

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, গণমাধ্যমকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠেনর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালীতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।  

নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালী ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় এসেছে। আজ সন্ধ্যার দিকে সিত্রাং শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

হাসিব আল আমিন/এসপি