ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত জেলার মোংলা, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার ২৯ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। এছাড়া অতি দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে সহযোগিতা করছেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেছেন, সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২৯ হাজার ১০০ জন মানুষ এবং ১ হাজার ৬১০টি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

এর আগে রোববার রাত থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, আমরা ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়ণকেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া ২৯৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন দেখা দিলেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

তানজীম আহমেদ/এসপি