ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নারীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে পর্যাপ্ত আলো ও খাদ্য সংকটে বিপাকে রয়েছেন তারা। নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত নারীরা।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলের পর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় বাসিন্দারা আসতে শুরু করেন। কয়েকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে অনীহা প্রকাশ করলেও জোর করে নিয়ে আসে প্রশাসন। 

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ৪০১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলে আট হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও হাতিয়ায় ঝুঁকিতে থাকা লোকজনদের জন্য বিভিন্ন বিদ্যালয়সহ ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে প্রায় লক্ষাধিক লোক আশ্রয় নিতে পারবেন। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে কতজন মানুষ অবস্থান নিয়েছে তার হিসেব নেই প্রশাসনের কাছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, জীবন বাঁচাতে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি। এখানে আমরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। কে দেখবে কাকে সবারই তো একই অবস্থা। বিদ্যুৎ নাই, আলো নাই। 

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দারা সন্ধ্যার পর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। সেখানে নারী স্বেচ্ছাসেবীরাও রয়েছেন। নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। কোথাও কোনো খবর পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, হাতিয়ায় অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীকাল সকালে সিত্রাং আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। 

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে ও পরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সবাইকে নিরাপদ স্থানে আনা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমে ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। 

 হাসিব আল আমিন/আরএআর