ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে গেছে। এখন এর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব শুরু হয়েছে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত থেকেই জেলার বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

জেলার প্রায় ৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে জেলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টায় বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হলে ৯ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকে জেলাবাসী। তবে কোথাও কোথাও সোমবার ভোর থেকে বিদ্যুতের সুবিধা পান গ্রাহকরা। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। 

সিত্রাংয়ের কারণে গত রোববার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও বিকেল থেকে তা বাড়তে থাকে। সোমবার দুপুর থেকে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। এতে গাছপালা উপড়ে ও ডালপালা ভেঙে পড়ে। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো হবিগঞ্জ। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক জটিলতা দেখা দেয়। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ থাকে মোবাইল ইন্টারনেট।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) হবিগঞ্জ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ঝড়ো বাতাসে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি তারা। আমরা চেষ্টা করছি ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সংস্কার করার। ইতোমধ্যে অনেক স্থানে লাইন সংস্কার করা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকি ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সংস্কারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
 
তিনি বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়ার কারণে বিদ্যুতের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। যেহেতু প্রাকৃতিক কারণে এসব ক্ষতি হয়েছে, সে সেক্ষেত্রে এসব ক্ষতি অফিস বহন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হবে।

আজহারুল ইসলাম চৌধুরী/এমএএস