শরীয়তপুরের নড়িয়া আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ ১৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ থামাতে ৪০টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। 

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও মুক্তারের চরের চেয়ারম্যান বাদশা শেখ ও তার জামাতা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মোস্তফার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নড়িয়া সদস্যপ্রার্থী হন ভিপি মোস্তফা ও তার স্ত্রীর বড় ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও মুক্তারের চরের চেয়ারম্যান বাদশা শেখ ও ছেলে ইউনুস শেখ। ওই নির্বাচনে উভয় প্রার্থী পরাজিত হন। এরপর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বুধবার বিকেলে মোস্তফা দলবল নিয়ে নড়িয়া বাজারে ইউনুস শেখ গ্রুপের ওপর হামলা করতে এলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে দুই গ্রুপের লোকজন দেড় শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। পরে এক ঘণ্টার চেষ্টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১৩ জন আহত হয়।

ভিপি মামুন মোস্তফা বলেন, নির্বাচনের পর ইউসুফ শেখের লোকজন আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে। তারা আজ আবারও হামলার জন্য এলে আমার কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। সংঘর্ষে আমার ৮ কর্মী আহত হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে।

বাদশা শেখ বলেন, আমি ও আমার ছেলে মসজিদে নামাজে যাই। নামাজ শেষ করে শুনি আমার চাচাতো ভাই কাদির শেখের ছেলে মিলন শেখকে মামুনের লোকজন মারধর করছে। এর জের ধরে কিছু লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আমরা আর কিছু জানি না।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মোবাইলে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএ