রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। সমাবেশে যোগ দিতে দিনাজপুরসহ ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুরের পথে রওনা হয়েছেন।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় দুই হাজার মোটরসাইকেলের একটি বহর রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়।

রংপুরের সমাবেশে মোটরসাইকেলের বহরে অংশ নেওয়া চিরিবন্দর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুয়েল রানা জিহাদ বলন, চিরিরবন্দর উপজেলা ছাত্রদলের প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী মোটরসাইকেলযোগে বের হয়েছি। এদেশের ছাত্র সমাজ জেগেছে স্বেরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে। এই অবৈধ সরকার যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক বন্ধ করে আমাদের সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না। মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটোতে করে রাস্তায় নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী দেলোয়ার হোসেন মোটরসাইকেলযোগে রওনা হয়েছেন রংপুরের সমাবেশে যোগ দিতে। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে সমাবেশে যেতে একটি পিকআপ ভাড়া করেছিলাম। কিন্তু এই বিনা ভোটের সরকার অবৈধভাবে বাস-ট্রাকসহ সকল যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে। সব বাধা অতিক্রম করে আজকের সমাবেশে সফল করবোই।

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য একরামুল হক বলেন, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ২ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রতেক মোটরসাইকেলে কষ্ট করে দুই-তিনজন চড়ে যাচ্ছি সমাবেশ সফল করতে। সরকার আমাদের আগের তিনটি বিভাগীয় সমাবেশ দেখে ভয় পেয়ে যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার যতই কঠোর হোক না কেন আমাদের আজকের সমাবেশ সফল হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান মিয়া বলেন, সরকার বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশ দেখে ভয় পেয়ে ময়মনসিংহ ও খুলনার জনসভায় বাস-ট্রাক বন্ধ করে সমাবেশ ঠেকাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা পারেনি। আমরা সরকারের কৌশল দেখে আমাদের নেতা-কর্মীরা সমাবেশের একদিন আগে থেকে রংপুরে আসতে শুরু করেছে। আজ সকাল ১০টার দিকে আমার সংসদীয় আসনের দুই উপজেলা থেকে প্রায় চার-পাঁচ হাজার নেতাকর্মী মোটরসাইকেলযোগে রংপুরের সমাবেশ রওনা হয়েছি। পথে কোনো বাধা এলে প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার রহমান কচি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের পরিকল্পিত পরিবহন ধর্মঘটসহ কোনো বাধাই আটকাতে পারবে না। দিনাজপুরের ১৩ উপজেলা থেকে প্রায় ৬০-৭০ হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে অংশ নেবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও থ্রি হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে ‘প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিকরা।

ইমরান আলী সোহাগ/এসপি