বাগেরহাটের মোল্লাহাটে তিন বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে বাবার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে মোল্লাহাট উপজেলার বড়গাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। 

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বাবা-ছেলের মরদেহ বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে নিজ গ্রামে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্ত্রীর ওপর অভিমান করে হায়দার তিন বছর বয়সী নিজ শিশুপুত্র জিসানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। হায়দার মোল্লা বড়গাওলা গ্রামের সোলেমান মোল্লার ছেলে।

পুলিশ আত্মহত্যাকারী মো. হায়দার মোল্লার কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। নোটটিতে লেখা ছিল ‘আমি আমার ছেলেকে হত্যা করেছি। আমি নিজেও আত্মহত্যা করলাম, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু ও একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ মামলা ও সুইসাইড নোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন হায়দার। তখন থেকেই তাকে বিমর্ষভাবে ঘুরতে দেখা যায়। শুক্রবার বিকেল থেকেই হায়দারের ঘর বন্ধ ছিল। প্রতিবেশীরা অনেক ডাকাডাকি করেও তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্ধ্যার পরে ওই ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

পরিবারের বরাত দিয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, হায়দার ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে তিনি বাড়িতে আসে। পারিবারিক বিষয়ে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যের কারণে গত ৬-৭ মাস ধরে হায়দারের স্ত্রী জোবাইরা খাতুন তার বাবার বাড়িতে রয়েছেন। তবে তাদের সন্তান জিসান হায়দার মোল্লার বাড়িতে দাদির কাছে থাকত।

তানজীম আহমেদ/আরএআর