পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় দফায় নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে গেলেন আরও এক হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গা

চট্টগ্রাম থেকে পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় দফায় নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে গেলেন আরও এক হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গা। 

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ভাসানচরে পৌঁছে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌ-বাহিনীর পাঁচটি জাহাজ। এক হাজার ৭৫৯ রোহিঙ্গার মধ্যে ৫১৫ নারী, ৪৪৮ পুরুষ ও ৭৯৬ জন শিশু। পঞ্চম ধাপের প্রথম দফায় বুধবার (০৩ মার্চ) ভাসানচরে যান দুই হাজার ২৫৭ জন রোহিঙ্গা।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম থেকে এক হাজার ৭৫৯ রোহিঙ্গা নিয়ে নৌ-বাহিনীর জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়।

ভাসানচরে আসার পরই রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। এ সময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌ-বাহিনীর সদস্য ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা দলটিকে প্রথমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়। সেখানে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা তাদের ভাসানচরে বসবাসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেন। বিকেলে তাদের আবাসস্থল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ভাসানচরে রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৫৫২।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ভাসানচরে পৌঁছে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌ-বাহিনীর পাঁচটি জাহাজ

প্রথম দফায় ৪ ডিসেম্বর এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যান। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান এক হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি তিন হাজার ২০০ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুই হাজার ১০ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, এক হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামিয়ে মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়িতে করে ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়। ভাসানচরে বসবাসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়া হয়। পরে তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে নেওয়া হয়। 

নৌ-বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক বলেন, এ পর্যন্ত সাড়ে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে গেছেন। সেখানে তাদের জন্য উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। এভাবে পর্যায়ক্রমে ভাসানচরে যাবেন আরও রোহিঙ্গা।

হাসিব আল আমিন/এএম