সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের জেরে পরে বাগেরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাসপোর্ট কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে শতাধিক সেবাগ্রহীতা তাদের বিভিন্ন হয়রানির চিত্র তুলে ধরেন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই দালালকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগে খুশি সাধারণ জনগণ।

এসময় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করীম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এসএমএ সানি, কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিতুর রহমান পল্টনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

গণশুনানিতে হয়রানির শিকার নাগরিকরা বলেন, পাসপোর্ট করতে এলে, কারণে অকারণে হয়রানির শিকার হতে হয় আমাদের। দালালদের যোগসাজগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ভোগান্তীতে ফেলেন। তবে দালালদের টাকা দিলে আর হয়রানি হতে হয় না।  

শহিদুল ইসলাম নামের একজন বলেন, পাসপোর্ট করতে প্রথমে ফর্ম জমা দিলে আমার একটি ভুল ধরে কোর্ট থেকে এফিডেবিট করে নিয়ে আসতে বলছে। এফিডেবিট করে নিয়ে এলে বলে এতে কাজ হবে না, আড়াই হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা দিয়েও অনেক হয়রানি হতে হয়েছে। গণশুনানিতে এসে অন্তত নিজে হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি জানাতে পারলাম, এজন্য আমি খুশি হয়েছি।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পাসপোর্ট অফিসে গণশুনানি করা হয়েছে। আমরা সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ শুনেছি, দুই দালালকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাসপোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে নাগরিক হয়রানি কমবে এই প্রতিষ্ঠানে।

তানজীম আহমেদ/এমএএস