এবার বঙ্গোপসাগরে এক ট্রলারে ৯৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো নিলামে ১১ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে আনন্দিত জেলেরা। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।

জানা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ভোলার ২২ জন জেলেকে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায় এফবি হাসান নামে একটি ট্রলার। পাঁচদিন মাছ ধরে তারা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে আসেন। শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়। ১২ হাজার ৫০০ টাকা মণে এসব মাছ ১১ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেন জেলেরা। 

ট্রলারের মালিক কামাল কোম্পানির ছেলে মো. রায়হান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দরিয়ায় মাছ আছে। নিষেধাজ্ঞার পর ভালো মাছ মিলছে। ২২ জন জেলে মিলে আমরা ৯৫ মণ ইলিশ পেয়েছি। এভাবে ইলিশ মিললে জেলেদের সুখের দিন আসবে।

ট্রলারের সারেং জহির উদ্দিন মাঝি ঢাকা পোস্টকে বলেন, একসঙ্গে এতো মাছ আমরা পাই না। যখন মাছ কম হয় তখন আমাদের লোকসান হয়। আবার যখন ভালো মাছ পাই, তখন লাভ হয়। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের হিমশিম খেতে হয়।

ফেনী জেলা থেকে ঘুরতে আসা আরিফুল ইসলাম আকাশ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেক ইলিশ মাছ একসঙ্গে দেখিনি। এতো ইলিশ দেখে আমার ঘুরতে আসা স্বার্থক হয়েছে। 

মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এফবি হাসান নামক ট্রলারে ৯৫ মণ ইলিশ মিলেছে। নদীতে মাছ ধরা পড়ায় ইলিশের সঙ্গে জড়িত সবাই উপকৃত হচ্ছেন। সবার মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছি। তার সুফল মিলছে এই ইলিশ পাওয়ার খবরে। আশা করি জেলেরা লাভবান হবেন। 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এফবি রায়হান-১ নামে একটি ট্রলারে ১১৭ মণ ইলিশ পান জেলেরা। মাছগুলো নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

হাসিব আল আমিন/আরএআর