বরগুনায় দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। সড়কে থ্রি হুইলার ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন বরগুনা বাস মালিক সমিতি। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে দশগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে বরিশালগামী যাত্রীদের।

জানা যায়, সড়কে অনুমোদনহীন থ্রি হুইলার ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন বরগুনা বাস মালিক সমিতি। তাদের দাবি, অটোরিকশা চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এতে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেমন হয় তেমনি পরিবহন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। তাই তারা এই ধর্মঘট ডেকেছেন।

বরগুনা সদরের টাউন হল জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, বিভাগীয় শহর বরিশালে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে যাত্রীরা ভিড় করছেন টাউন হল মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে। যেখানে বাসে করে ১৫০ টাকা সরাসরি বরিশাল যাওয়া যেত, সেখানে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে বরিশাল যেতে লাগছে ১৫০০-১৬০০ টাকা। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

বেলাল হোসেন খান নামে একজন বলেন, আমার এক নিকটাত্মীয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার জরুরি রক্তের প্রয়োজন। তাকে রক্ত দিতে আমি বরিশাল রওনা হয়েছি। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ১৪০০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বরিশাল যাচ্ছি। বাস চলাচল করলে এত টাকা খরচ হতাে না।

ফারুক আহমেদ নামে একজন বলেন, আমার কিছু দিন আগে পরিসংখ্যানের একটি প্রকল্পে চাকরি হয়। আজ ট্রেনিং ছিল। সকাল ৮ টায় বরগুনা থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে করে বরিশাল গিয়েছি। ১ ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে আবার ওই মোটরসাইকেলেই ফিরেছি। মোট ২০০০ টাকা দিতে হয়েছে চালককে। যেখানে আমি ৩০০ টাকায় বরিশাল যাওয়া-আসা করতে পারতাম, সেখানে ২০০০ হাজার টাকা খরচ হলো।

প্রসঙ্গত, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধের দাবি নিয়ে ধর্মঘট ডাকে বরগুনা বাস মালিক সমিতি। এ কারণে গতকাল (০৪ নভেম্বর) থেকে সারা দিন সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিকরা।

বরগুনা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছগির হোসেন বলেন, সড়কে অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আমাদের এই ধর্মঘট কর্মসূচি। এরপরও যদি প্রশাসন অবৈধ গাড়ি বন্ধ না করে, তাহলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মসূচি দেবো।

খান নাঈম/এসপি