‘আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। তাই যেখানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় সেখানেই ছুটে যাই। এর জন্য আমি কারো কাছ থেকে কোনো প্রতিদান চাই না।’

কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদ আলী। তিনি প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা থেকে রংপুরে এসেছেন। শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মাথায় নৌকা, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় মোহাম্মদ আলীকে। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিঃস্বার্থ সমর্থক। 

মোহাম্মদ আলী ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকেন। সেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তার বসবাস। তবে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে সবাই থাকেন শরীয়তপুরে। 

৪২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, দেশের যে প্রান্তেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হোক, তিনি সেখানেই ছুটে যান। সমাবেশ বা সম্মেলনস্থলে মাথায় নৌকা আর হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঘুরে ঘুরে শেখ হাসিনা ও দলের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেন।

তিনি জানান, গ্রামে তার পরিবার চলে কৃষি কাজের ওপর নির্ভর করে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে সংসার চলে। তিনি ১৫ বছর ধরে ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে থাকছেন। একজন নিঃস্বার্থ সমর্থক হিসেবে তার কোনো প্রত্যাশা বা চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন, শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন, এজন্যই তিনি সারাদেশে এভাবে মাথায় নৌকা আর হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঘোরেন।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার বলে মনে করেন মোহাম্মদ আলী। এ কারণে তার প্ল্যাকার্ডে লিখে এনেছেন- ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার। উন্নয়নের সরকার, বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার বারবার দরকার।’

এদিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকালেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন যুবলীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছেয়ে গেছে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ে। 

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে আছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর