বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ হয়েছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করা। সমাবেশ শেষ হতেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। 

তবে বরিশাল থেকে কোনো বাস চলাচল না করায় সমাবেশে আনা নেতা-কর্মী ও সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্ত পোহাতে হচ্ছে। আগামীকাল রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল ৬টার পর থকে বাস চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। 

নগরীর রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাস না পেয়ে অনেক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খালি ট্রাক ও খোলা টমটমে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। ৫০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকায় আদায় করা হচ্ছে। 

ঝালকাঠির রিপন বলেন, যে সমাবেশের কারণে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, সেই সমাবেশ শেষ হলেও এখনো বাস মালিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেননি। অনেক কষ্ট করে এখন বাড়ি ফিরতে হবে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জের শাহ আলম বলেন, শেষ সময়ে যদি বাস পেতাম তাহলে শান্তিতে বাড়ি ফিরে যেতে পারতাম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাকে করে বেশি টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

পটুয়াখালীর গলাচিপার মিলন চৌকিদার বলেন, সমাবেশের দুই দিন আগে বরিশালে এসেছি বাসে করে। দুই দিন ছিলাম মাঠে। এখন খুব ক্লান্ত বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনি এখনো গাড়ি ছাড়বে না। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।

কুয়াকাটা এক্সপ্রেস কাউন্টারের ম্যানেজার লিওন আহমেদ বলেন, পরিবহন রাত ১২টার পর বরিশাল থেকে ছেড়ে যাবে। এছাড়াও আগামীকাল সকাল ৬টার পরে সকল রুটের বাস চলাচল শুরু হবে। দূরপাল্লার যে পরিবহনগুলো রয়েছে সেগুলো নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আটকে দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতি বিভিন্ন দাবিতে নিয়ে ৪ ও ৫ নভেম্বর দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। এতে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা ও সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। 

মাহমুদ হাসান রায়হান/আরএআর