আমরা সেবক, জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব বিশ্বাস করে সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন হলে পৃথিবী থেকে অন্তত ৮০ ভাগ দুর্নীতি কমে যাবে। জমিসংক্রান্ত কাগজপত্র তুলতে যে ভোগান্তি হয়, ডিজিটালাইজেশন হলে তা আর হবে না। আমরা সেবক, জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যদি একটি ভালো কাজ করতে পারি তাহলে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারব।

বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিধবা ও বয়স্ক ভাতাসহ সকল ভাতা এখন ঘরে বসেই মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। কৃষক আধুনিক চাষাবাদে ডিজিটাল সেবা নিয়ে আসছে। দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ডিজিটাল সেবা পেয়ে আসছে। আর এসব কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হচ্ছে।

ড. শামসুল আলম বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মেলায় প্রযুক্তির বিভিন্ন সংস্করণ প্রদর্শন করা হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানবসম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’-র অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের জন্য কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ অপরিহার্য। ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম ভিত্তি। আমাদের সরকার কৃষক বান্ধব সরকার। কৃষিকে আধুনিকায়ন করার কারণে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে আমরা এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছি। আগে আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য সাহায্য নিতাম, আর এখন আমরা বিভিন্ন দুর্যোগে অন্যান্য দেশকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। এসব সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে।

মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আওরাঙ্গজেবের সঞ্চালনায় টেলিকনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল। এছাড়া আরও আরও বক্তব্য দেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল-ইমরান খান, এএসপি সার্কেল আবুল কালাম চৌধুরী, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার শাজাহান প্রমুখ।

এর আগে সকালে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে ধান কাটার জন্য কম্বাইন হার্ভেস্টার (ধান কাটা ও মাড়াইয়ের যন্ত্র) বিতরণ করেন।

আনোয়ারুল হক/এমজেইউ