নানা জটিলতায় নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজে ধীরগতি

ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বসহ নানা জটিলতায় নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজ ধীরগতিতে চলছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে কাজ। এতে যানবাহন চলাচলে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি খানাখন্দ ও ধুলাবালিতে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। 

জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়কের বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাইমুড়ীর চাষিরহাট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ৪ লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়। ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নোয়াখালী সড়ক বিভাগ। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত হলেও ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বসহ নানা জটিলতায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এছাড়া কাজে ধীরগতির কারণে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। প্রখর রোদে ও ঝলমলে আলোর মধ্যেও ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায় সড়ক। এতে একদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে পথচারী, যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে।

বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিং শেষ করা হচ্ছে। খুুঁটি স্থানান্তরের জন্য সড়ক বিভাগ থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় দেওয়া হলেও এ কাজে বিলম্বের জন্য এক বিভাগ অন্য বিভাগকে দোষারোপ করছে।

 ধুলার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

ঠিকাদারি জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠানগুলো হলো তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড, রানা বিল্ডার্স লিমিটেড ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। সোনাইমুড়ী থেকে বিপুলারসার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হলে আমরা যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারব। ভূমি জটিলতার কারণে কাজ ধীরগতিতে চলছে।’ 

রাস্তার ধুলাবালির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ৪টা গাড়ি দিয়ে পানি দিচ্ছি। এরপরও মাঝেমধ্যে গাড়ি সমস্যার কারণে পানি দিতে অসুবিধা হয়। আমরা সামনে এ বিষয়ে বাড়তি নজর দেব।’

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী অঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড নোয়াখালী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুছ ছাবের ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৪ লেন সড়কের জায়গা বুঝিয়ে দিতে বিলম্বের কারণে খুঁটি সরাতে দেরি হচ্ছে।

নোয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘১৪ কিলোমিটার সড়কের চৌমুহনী অংশে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সোনাইমুড়ী থেকে চাষিরহাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। খুঁটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে অর্থ ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি সকল সহযোগিতা করার পরও তারা নিজেদের দায় অন্যের ওপর চাপাচ্ছে।’

এমএসআর/এমএমজে