রসিক নির্বাচন: ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী পোস্টার অপসারণের নির্দেশ
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে সাঁটানো সকল ধরনের প্রচারণা সামগ্রী আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন। একইসঙ্গে সকল প্রকার মিছিল-মিটিং ও শোডাউনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন। এ সময় রংপুর জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে যা যা করণীয় তাই করা হবে জানিয়ে আবদুল বাতেন বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রতিপালনের কোনো বিকল্প নেই। আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর পক্ষে লাগানো সকল ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ প্রচার সামগ্রী অপসারণ করতে হয়। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হলেও এখনও নগরজুড়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে আছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রার্থী যদি নিজ দায়িত্বে এসব সামগ্রী অপসারণ না করে তাহলে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরও জানান, ইভিএমে ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে মক ভোটিং কার্যক্রম চলবে। এজন্য খুব দ্রুত দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হবে। সকল কেন্দ্রে ইভিএম এবং গোপন কক্ষ ছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
বিজ্ঞাপন
গাইবান্ধার মতো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখতে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে আবদুল বাতেন বলেন, এগুলো নির্বাচন কমিশনের নলেজে আছে। কেউ যেন কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে বাধা তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সিসিটিভি ক্যামেরা নির্বাচন কমিশন থেকেও মনিটরিং করা হবে। কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোটকেন্দ্র বন্ধসহ পুরো নির্বাচন বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ২০১টি ভোটকেন্দ্রের ১৩৭টি কক্ষে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু, জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগরের সাবেক আমির অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। তাদের অর্ধ ডজন প্রার্থী মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। এছাড়া একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আয়তনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়তে আড়াই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ