নিহত সিমন

নারায়ণগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুতে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শীতলক্ষ্যা সেতুর পূর্ব পাশে বন্দর অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিলুফা বেগমের ছেলে সিমন (১৯)। তার বাবার নাম আবু সালেহ। তারা পুরাতন সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা। অন্যজন হলেন- দ্বীপ নগরীর গলাচিপা এলাকার স্বাধীন হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন।

গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈকত হোসেন বলেন, বন্দর থেকে দুই যুবক মোটরসাইকেলে শীতলক্ষ্যা সেতু পার হচ্ছিলেন। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে সিমন মারা যান। নাঈমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী ঢাকা পোস্টকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে করে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু পার হচ্ছিলেন। এ সময় গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইউপি সদস্য নিলফা বেগমের ছেলে সিমন। নিলুফা চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন। এছাড়া নাঈম নামে সিমনের আরেক বন্ধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদুজ্জামান জানান, সেতুতে দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে তার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করে সেতুর ওপরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কোনো ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া এত রাতে সেতুতে আমাদের কেউ থাকে না।

আবির শিকদার/এসপি