বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামী ২৬ নভেম্বর। এই গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের থাকার জন্য বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কৃত সাবেক সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ৭৮টি ফ্ল্যাট প্রস্তুত করেছেন।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণকালে সাক্কু নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, বিএনপি আমাকে আইনত বহিষ্কার করেছে। আমি দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, এটা অন্যায় করেছি। আমি আমার নেতা তারেক রহমানের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। তিনি আমার কাছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমি বলেছি- মানুষের জন্য আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।  তিনি আমার ব্যাখ্যা শুনেছেন এবং আমাকে আশ্বস্ত করেছেন- আগামী ২৬ তারিখের আগে বা তার পরে হলেও বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করবেন। 

সাক্কু বলেন, আমি আছি। আমাকে দলে রাখুক বা না রাখুক, আমি দলের হয়ে কাজ করে যাব। ২৬ তারিখ বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে আমার নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত হবো। এর আগে প্রতিদিন মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি, সমাবেশের লিফলেট বিতরণ করছি। অন্যান্য জায়গাগুলোর মতো কুমিল্লায়ও সমাবেশের আগে পরিবহন বন্ধ করে দিতে পারে। তাই যারা আগে আসবেন, তাদের থাকার জন্য আমার নির্মাণাধীন এবং নির্মিত মোট ৭৮টি ফ্ল্যাট প্রস্তুত করেছি। পাশাপাশি তাদের জন্য খাওয়ার আয়োজনও থাকবে আমার পক্ষ থেকে। 

এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বহিষ্কৃত কেউ যদি বিএনপির প্রচারণা চালায়, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অংশ নেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুই বারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২২ মে কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের চিঠি আসে সাক্কুর কাছে।

আরিফ আজগর/আরএআর