সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলার আবেদন করেন দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কলিম উদ্দিন। এতে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়াসহ ৮১ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে থানায় এফআইআর'র (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী আবুল আজাদ রুমান। 

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল বলেন, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। দ্রুত বিচার পিটিশন নং-৫। আদালত এফআরআইয়ের আদেশ দিয়েছেন। এখন মামলা থানায় যাবে। 

প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর সোমবার দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়ার নেতৃত্বে তার সমর্থকদের মিছিল ঢুকে। মিছিলটি মঞ্চের কাছাকাছি আসতে থাকলে মঞ্চের আশপাশে থাকা নেতাকর্মীরা এসময় মিছিলকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে মঞ্চে উঠাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে কর্মীরা। মঞ্চে উপস্থিত কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে নেতৃবৃন্দরা চেয়ার মাথায় ওঠিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন। আধাঘণ্টারও বেশি সময় সংঘর্ষ চলাকালে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল কবির রুমেন ও জেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক আসাদুজ্জামান সেন্টুসহ কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সোহানুর রহমান সোহান/এমএএস