রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল বিড়ি কারখানা বন্ধ করাসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) খুলনা বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিভাগীয় কাস্টমস কমিশনার মো. সামছুল ইসলাম বরাবর ছয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

দাবি গুলো হলো, রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সকল বিড়ি বন্ধ করা, যাচাই-বাছাই ব্যতিরেকে (অনলাইন) লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ, বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে শ্রমিককের মজরি বৃদ্ধি, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করা, সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে প্রান্তিক ব্যবসায়ী ও দোকানিদের পরিবর্তে শুধুমাত্র ডিলারদের লাইসেন্সের আওতায় আনা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মুন্সি। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কমদামে বিড়ি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 

এছাড়া বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। বিড়ির ওপর থেকে এ বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সিগারেটের মূল্য বাড়াতে হবে।

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস