টানা দুই দিনের বাস ধর্মঘটের কবলে পড়েছে সুনামগঞ্জ। তাই বিএন‌পির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে সড়কপথের ধর্মঘট এ‌ড়িয়ে নৌপথে সিলেট পৌঁছেছেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বিএন‌পি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত এক হাজার নেতাকর্মী। নৌপথে ধর্মঘট না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনীর সদস্যরা বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় সিলেট নগরীর কা‌নিশাইল মজুমদার পাড়া খেয়াঘাটে পৌঁছায় আট‌টি বাল্কহেড (ইঞ্জিনচালিত মালবাহী নৌকা)। যার প্রত্যেকটিতে গড়ে ১০০ থেকে ১২০ জন যাত্রী ছিলেন। ঘাটে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন বিএন‌পি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। সুনামগঞ্জের আট‌টি নৌকা ঘাটে পৌঁছালে হাততা‌লি ও স্লোগান দিয়ে নৌকায় করে আসা নেতাকর্মীদের স্বাগত জানান। এসময় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে জানান, সড়কপথে যেখানে তাদের এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগতো সেখানে নৌপথে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে।

ছাতক মোল্লাপাড়া থেকে আসা নৌকাচালক মুহিম আলী বলেন, সকাল ১০টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে রওনা দিয়েছি। বিকেল সাড়ে তিনটায় সিলেটের কানিশাইল ঘাটে এসে পৌঁছেছি। সিলেট পৌঁছানোর আগে লামাকা‌জি পয়েন্টে পু‌লিশ নৌকা থামাতে ইশারা করেছিল।

দোয়ারা সদর ইউপি চেয়ারম‌্যান মামুন মিয়া বলেন, আম‌াদের বাধা দেওয়ায় নেতাকর্মীরা সমাবেশে যাওয়ার জন‌্য আরও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। যার প্রমাণ নৌপথে নেতাকর্মীদের ঢল। আরও পাঁচ‌টি নৌকা পথে রয়েছে। শ‌নিবারের মধ্যে দুই উপজেলা থেকে কমপক্ষে আরও ৫ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন। 

ছাতক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মনসুর আলী নৌপথে আসা নেতাকর্মীদের জড়ো কর‌ছিলেন। এসময় তিনি জানান, বিএন‌পি নেতা মিজান চৌধুরীর নির্দেশনায় নেতাকর্মীদের অভ‌্যর্থনা জানাতে তি‌নি সেখানে গিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্প‌তিবার (১৭ নভেম্বর) সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতি শুক্রবার ও শ‌নিবার বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দে‌য়।

মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ