অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে রসুন

দিনাজপুরের খানসামায় মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে দেশীয় সাদা সোনাখ্যাত রসুন। গত বছর জেলায় ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর রসুন চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রসুনের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় স্থানীয় চাষিরা। 

চাষিরা জানান, অল্পদিনের মধ্যেই রসুন ঘরে তুলবেন তারা। তবে এবার ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কয়েক মাস আগে প্রতি কেজি রসুন ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও সেটা এখন ২৭-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩৭৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে রসুন। এতে গতবারের তুলনায় প্রায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে বেশি রসুন আবাদ হয়েছে।

উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে সাদা সোনা। এর ডগায় শিশির চিকচিক করছে। শেষ সময় চাষিরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে আসবে রসুন।

খানসামায় মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে রসুন

 কাচিয়ানি বাজারের রসুন চাষি আব্দুর রফিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা এবং বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরও ২৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ৬০-৬৫ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন ৩০০০ টাকা করে বিক্রি হলেও বিঘা প্রতি এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। কিন্তু বর্তমানে রসুনের দাম গতবারের থেকে অনেক কম। 

আরেক চাষি রমিজ উদ্দিন বলেন, কষ্ট করে হামরা আবাদ করি। কিন্তু দামের বেলায় মহাজন কলা খায়, আমরা কলার ছোলা। যখন একনা আবাদ ভালো হয় তখন ওমার কাছে দাম থাকে না। এবার যে কী হয় আল্লাহ জানে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তরের জেলা দিনাজপুর শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত। এর মধ্যে খানসামায় রসুন প্রধান অর্থকরী ফসল। উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে ব্যাপক পরিসরে রসুন চাষ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। তাই এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এসপি