বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বিভাগের চার জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী দুদিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দিনেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে সিলেটের সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠ। রাতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি আরও বেড়ে যায়।

এদিকে শনিবার (১৯ নভেম্বর) ভোর থেকে মিছিল সহকারে সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশস্থল। তবে সমাবেশ শুরু হওয়ার পর থেকে মানুষ কিছুটা কমতে থাকে। মাঠে রোদ বাড়তে থাকায় অনেক কর্মী-সমর্থক এসে জড়ো হয় দক্ষিণ দরগা গেট সড়কে। সড়কের স্থাপনা ও গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে মাইকে নেতাদের বক্তব্য শুনতে থাকেন। পাশাপাশি চা, মুড়ি, পিঠাসহ বিভিন্ন খাবার খেতে থাকেন। কেউ কেউ ক্লান্ত হয়ে সড়কের ফুটপাতে বসে পড়েন। এতে করে দরগাহ মহল্লা সড়কে হাঁটাচলা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। এই সড়কটি যেন হয়ে ওঠে আরেক সমাবেশস্থল। সড়কের যত দূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ।

সিলেট মহানগরের ১নং ওয়ার্ড পায়রা এলাকার বিএনপি কর্মী জুয়েল মিয়া বলেন, মাঠে প্রচণ্ড রোদ। এই রোদে সকাল থেকে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তাই মানুষ মাঠে না গিয়ে এই সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

গণসমাবেশের স্বেচ্ছাসেবক রাজু মিয়া বলেন, সবাই আলিয়া মাদরাসা মাঠের পাশের সড়কে থেকে মাইকে বক্তব্য শুনছেন। যখন মহাসচিব বক্তব্য দেবেন তখন সবাই মাঠে চলে যাবেন।

দক্ষিণ দরগা গেট সড়কের শাহজালাল ফার্মেসির চয়ন পাল বলেন, দোকানের সামনে মানুষ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হাজার হাজার মানুষ এই সড়কে আছেন। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। সবাই একটু প্রশান্তির জন্য ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুরের পর আজ সিলেটে গণসমাবেশ চলছে। এটি বিএনপির সপ্তম বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া স্থানীয় বিএনপি ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিচ্ছেন।

এমজেইউ