নিহত নয়ন মিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মিছিলের সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া (২২)। তবে তার নিহতের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন খান ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। 

এর আগে গতকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মোল্লাবাড়ি এলাকায় বিএনপির মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন ওই উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন মিয়া। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ১০ জন।

তবে গতকাল সন্ধ্যায় বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম জানিয়েছিলেন, মিছিলকারীরা পুলিশকে দেখে আরও উগ্র হয়ে পড়েন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালায়। তবে নয়ন কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা এবং অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কীভাবে নয়নের মৃত্যু হয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্ত চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া/আরকে