হবিগঞ্জে টানা তৃতীয়দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এতে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। প্রশাসনের হয়রানিসহ ৪ দফা দাবিতে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়।

রোববার (২০ নভেম্বর) পরিবহন মালিকদের সংগঠন হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় জানান, প্রশাসনের আশ্বাস ছাড়া আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবো না।

হবিগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পদক সজীব আলী বলেন, আমাদের দাবি নিয়ে শুধু টেবিলেই আলোচনা হয়। কার্যত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। নবীগঞ্জের সালামতপুর বাসস্ট্যান্ডের সমস্যার সমাধান, অবৈধ যানবাহন বন্ধ, হাসপাতালে নিয়মিত চালকদের ডোপ টেস্ট চালু থাকা ও মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে অবৈধ যানবাহনের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে পরিবহনগুলোর শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যাত্রীদেরও ভোগান্তি বেড়েছে। আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করছি। প্রশাসন আশ্বাস দিলেও পরে তা বাস্তবায়ন করে না। এবার আমরা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে না। 
  
এদিকে রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় যাত্রীদের ভিড়। সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ শেষ হলে ধর্মঘট শেষ ভেবে যাত্রীরা বাস টার্মিনালে টার্মিনালে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন হবিগঞ্জ থেকে সকল রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কাজী মহসিন আহমেদ নামে এক যাত্রী বলেন, আমি ভেবেছিলাম ধর্মঘট ওঠে গেছে। কিন্তু বাস টার্মিনালে এসে দেখি গাড়ি চলছে না। এখন আমার পূর্ব নির্ধারিত সময়ে যে কাজের জন্য যাবার কথা ছিল, তা করতে পারছি না।

পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গাড়ি চললে তাদের আয় হয়। যা দিয়ে সংসার চলে। একদিন গাড়ি বন্ধ থাকলে সংসার চালাতে তাদের কষ্ট হয়। সকল পক্ষ এক হয়ে দ্রুত গাড়ি চলার আশা করছেন শ্রমিকরা।ৎ

এমএএস