মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সাপ আতঙ্কে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত ক্লিনিকের পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। 

জানা গেছে, উপজেলার উত্তর রাঙ্গামালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে গত বুধবার একটি সাপ দেখা যায়। বৃহস্পতিবার ক্লিনিকটির ভেতরে একসঙ্গে ৭টি সাপের দেখা মেলে। সে সময় উৎসুক জনতা কয়েকটি সাপ মেরে ফেলে। ওই ক্লিনিকে আবারও রোববার তিনটি সাপের দেখা মেলে। ওই সময় পাশের স্কুলের ছাত্র- শিক্ষক দলবেঁধে সাপগুলোকে ক্লিনিক থেকে বের হতে দেখেন। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

উত্তর রাঙ্গামালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কল্পনা আক্তার বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য সেবা নিতে আসা রোগীদের অন্য স্থানে সেবা দিতে বলেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওেয়া পর্যন্ত ক্লিনিকের ভেতরে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় সোমবার (২১ নভেম্বর) ওই ক্লিনিক পরিদর্শন করেন সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও)। এ সময় তিনি আপাতত ওই ক্লিনিক বন্ধ রেখে পাশের উত্তর রাঙামালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষে সেবা প্রদান করতে বলেন।

সেবা নিতে আসা রোগী মিম আক্তার, আলো বেগম, হাবিবা,সিরাজুল হক, নিলুফা ও সায়না বেগম বলেন, আমরা সাপের ভয়ে ক্লিনিকে সেবা নিতে যেতে পারছি না। সেখানে প্রতিদিন বিষধর সাপ দেখা যায়।

এ বিষয়ে ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কল্পনা আক্তার ঢাকা পোস্টকে  বলেন, গত বুধবার প্রথমে সাপ দেখতে পাই। পরে আবার বৃহস্পতিবারও ক্লিনিকের ভেতরে সাপ দেখতে পাই। ওই সময় এলাকার লোকজন একটি সাপ মেরে ফেলে। বাকি সাপগুলো ক্লিনিকের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে আমি ক্লিনিকে কার্বন এসিড ব্যবহার করি। কিন্তু তারপরও সাপ দেখা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে ক্লিনিকের ভেতরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে অন্য স্থানে সেবা প্রদান করছি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বলেন, আমি আজকেই বিষয়টি জানতে পেরে আরএমওকে ওই ক্লিনিকে তদন্তে পাঠাই। ক্লিনিকের কার্যক্রম আপাতত পাশের একটি স্কুলে শিফট করা হয়েছে।

ব.ম শামীম/আরএআর