রংপুর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে পুলিশসহ বিএনপির অন্তত ২২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা বিএনপি। এতে নেতৃত্ব দেন রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। 

মিছিলটি শাপলা চত্বর হয়ে গ্রান্ড হোটেল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে ছয় পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২২ জন আহত হয়েছেন।

রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, আমরা শাপলা চত্বর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে গ্রান্ড হোটেল মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ সদস্যরা আমাদেরকে বাধা দেন। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন।  এ সময় পুলিশ ও আমাদের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে আমাদের অন্তত ১৬-১৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেকে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

এদিকে পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলের আড়ালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। তারা পূর্বপরিকল্পনা থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালান। দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে আগে থেকে রাখা ইট-পাকটেল ছুড়ে মারেন। তখন তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেন পুলিশ সদস্যরা। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় ৬ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে আমাদের ছয় পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা পূর্বপ্রস্তুতি থেকে এ হামলা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর