কুড়িগ্রাম পৌর শহর থেকে নির্যাতিত এবং অবরুদ্ধ এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সদর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের হরিকেশ এলাকায় অত্যাচারী স্বামীর বাড়ির লোকজনের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে। 

যৌতুকের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে ওই পরীক্ষার্থীকে নির্যাতন করে আসছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তার দেড় বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। 

অভিযোগ সূত্রে  জানা যায়, নির্যাতিত অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীর সঙ্গে তিন বছর আগে হরিকেশ এলাকার লিয়াকত আলী লিটনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

একই দাবিতে মঙ্গলবারও তাকে মারধর করে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে আটকে রাখে। এমন সংবাদ শুনে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্বামী লিয়াকত আলী লিটন ও শ্বশুর আতিকুর রহমান পাপ্পুসহ অনেকেই পুলিশের সামনেই ওই শিক্ষার্থীকে মারধর এবং পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এসময় তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করবে মর্মে হুমকিও দেয়।

পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে উলিপুর উপজেলার পাঁচপীর কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয় এবং পুলিশ প্রহরায় তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। এ সময় তার দেড় বছরের শিশু সদর থানার মহিলা পুলিশের হেফাজতে ছিল।  

কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং আমরা ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।

জুয়েল রানা/এমএএস