ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ‘কারেন্ট পোকা’ প্রতিরোধক ধান চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এই ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ না হওয়ায় ফলন বাম্পার হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার মলমলি গ্রামে ১৮ শতক জমিতে তাজমুল নামে এক কৃষক অ্যারাইজ আইএনএইচ ১৬০১৯ বায়ার হাইব্রিড-৮ ধান রোপণ করেন। দুই-এক দিনের মধ্যেই তিনি জমি থেকে ধান কাটা শুরু করবেন। অন্য কৃষকদের জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করলেও কৃষক তাজমুলের জমিতে কারেন্ট পোকার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। অন্য সব কৃষকের থেকে তার ধানের ফলন বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কৃষক তাজমুল হোসেন বলেন, বাজারে ধান বীজ কিনতে গেলে ডিলার পয়েন্ট থেকে আমাকে এই জাতের ধান রোপণের জন্য অনুরোধ করা হয়। তারা জানায়, এই ধান কারেন্ট পোকা প্রতিরোধক এবং অন্যান্য ধানের তুলনায় এতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার কম লাগে। এরপর তাদের থেকে বীজ সংগ্রহ করে, বীজতলায় ধান বীজ বপন করে ২৫ দিনের মাথায় ধানের চারা জমিতে রোপণ করি। তাদের কথামতো কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার কম দেই। এখন দেখা যাচ্ছে, পাশের জমির তুলনায় আমার জমিতে কারেন্ট পোকা লাগেনি এবং ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।

বায়ার কোম্পানির শৈলকুপা উপজেলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন বলেন, আমাদের কোম্পানি এবার এই ধানের জাতটি নতুন সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে শৈলকুপা উপজেলার ৬ একর জমিতে কৃষকের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য জমির তুলনায় কারেন্ট পোকা লাগার সম্ভাবনা একবারেই নেই।

তিনি আরও বলেন, ৩৩ শতক জমিতে ২২-২৮ মণ হারে ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তবে অন্যসব ধানের থেকে এই ধানে পোকামাকড় খুবই কম লেগেছে। আগামীতে এই ধানের চাষ আরও বাড়বে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এসপি