একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরে সশরীরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে সমাবেশস্থল যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে যশোর জেলা।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সভাস্থল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এ বলয়ে যুক্ত করতে আশপাশের জেলা থেকেও আনা হচ্ছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের। মঙ্গলবার থেকেই মাঠে নামানো হয়েছে র‌্যাবের প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনসভা সফল করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। এই তিন স্তরের মধ্যে সাদা পোশাকধারী পুলিশও থাকবে কড়া নজরদারির দায়িত্বে। সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে আর একটি গ্রুপ। শহরের সড়কগুলোতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়া রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) ও আমর্ড পুলিশ ব্যটালিয়ন (এপিবিএন) থাকবে টহলের দায়িত্বে।

এছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) থাকবে নিরাপত্তার দায়িত্বে। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো এলাকা নজরদারিতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। পুরো জনসভাস্থলই থাকবে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায়। ওই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব কিছু নজরদারি করা হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত রয়েছে যশোরের সর্বস্তরের জনগণ। জেলার বিভিন্ন রাস্তায় তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। মাইকিং, ব্যানার ও লিফলেটের সাহায্যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন এবং জনসভাস্থলে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন এসএসএফের সদস্যরা। তবে জেলাজুড়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে যশোর জেলা পুলিশ। তাদের সাহায্য করবে গোয়েন্দা সংস্থা এবং র‌্যাব।

জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, যশোরের ৯টি থানার পুলিশ সদস্য ছাড়াও বাইরের জেলা থেকেও আনা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে জেলার বিভিন্ন গেস্ট হাউজ, আবাসিক হোটেল-মোটেল, মেস ও বাসা-বাড়ির দিকেও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

যশোর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইওয়ান) মশিউর রহমান জানান, ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড এই তিন ক্যাটাগরিতে কয়েক হাজার পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। সমাবেশ সফল ও সুন্দরভাবে করতে পুলিশ সর্বাত্মক সতর্ক অবস্থায় থাকবে।

এ্যান্টনি দাস অপু/এসপি