কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের তিন দিন আগেই বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে সমাবেশস্থলে এসেছেন নেতাকর্মীরা। জেলার লাকসাম থেকে কাঁথা, বালিশ এবং কম্বল নিয়ে সমাবেশস্থল কুমিল্লা টাউন হল মাঠে অবস্থান নিয়েছেন কয়েকজন। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে কথা হয় তাদের সঙ্গে। 

আশরাফুল ইসলাম নামে বিএনপির এক সমর্থক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল বুধবার আমরা লাকসাম থেকে এসেছি। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষের আয় রোজগারের সঙ্গে  দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির অনেক ব্যবধান। আওয়ামী দুঃশাসন থেকে বাঁচতে মানুষ মরিয়া। যদি সম্ভব হতো, সুযোগ থাকতো, তাহলে গ্রামের নারীরাও সমাবেশে অংশ নিতো। এই সরকারের ওপর মানুষ খুবই অসন্তুষ্ট। দেশবাসী এক হয়ে এই সরকারকে উৎখাত করবে।

বাচ্চু মিয়া নামে আরেক সমর্থক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই সরকারের কথা কাজে মিল নেই। পরিবহন মালিক, শ্রমিক এক কথা বলে, সরকারের মন্ত্রীরা আরেক কথা বলে। মালিকরা বলছে ধর্মঘট দেবে না। কোন সময়ে আবার তাদের বাধ্য করা হয় পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তাই আমরা কাঁথা, বালিশ এবং কম্বল নিয়ে সমাবেশস্থলে তিন দিন আগেই উপস্থিত হয়েছি। সমাবেশের শেষ পর্যন্ত টাউন হল মাঠেই অবস্থান করব। 

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধর্মঘট দিলো কী দিলো না সে বিষয়ে বিএনপির মাথা ব্যথা নেই। আমরা ধর্মঘটের আশঙ্কা মাথায় রেখেই গণসমাবেশের প্রস্তুতি শেষ করেছি। দূর-দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা আসবেন। তাদের জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি কারা কারা আগে থেকে চলে এসেছেন, তাদেরকে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেটের পর শনিবার (২৬ নভেম্বর) কুমিল্লায় গণসমাবেশ করবে দলটি। কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশের আয়োজন চলছে। এটি বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আরিফ আজগর/আরএআর