তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণসহ অসংখ্যক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। সিংড়ার চলনবিলে গ্রামে যাওয়ার কোনো পাকা রাস্তা ছিল না। এখন প্রত্যক গ্রামে-ইউনিয়নে পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে। গত ১৩ বছরে সিংড়ায় সাড়ে তিনশ কিলোমিটার পাকা রাস্তা উপহার দিয়েছে সরকার। সিংড়ায় শতভাগ বিদ্যুৎতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে নাটোরের সিংড়ার গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে বিনামূল্যে চোখের লেন্সের অপারেশন হওয়া রোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সিংড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিগত ২০ বছর একটি অ্যাম্বুলন্স না থাকলেও গত ১২ বছরে এই হাসপাতাল অত্যাধুনিক তিনটি অ্যাম্বুলন্সসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে সিংড়াবাসী হাতের নাগালে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, একজন মানুষের কষ্টে যদি অন্য আরেকজন দুঃখী না হয়, তাহলে এত টাকা-পয়সা দিয়ে কী হবে। অনেক কোটি কোটি টাকার মানুষ আছে কিন্তু মানুষের সেবা করার সুযোগ সবাই পায় না। আল্লাহ সবার সেবাও কবুল করেন না। মহান আল্লাহ আমাকে সিংড়ার ৪ হাজার মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। সিংড়ায় ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়েছি। শুধু সিংড়ায় না, সারা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গর্ভবতী মা, অসুস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরা সহজে গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারছে।

এ সময় সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিরুল ইসলাম, উপজলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান, সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতি ও মক্কা হাসপাতালের সহযাগিতায় আল বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আয়াজনে প্রায় ৪ হাজার চোখের রোগী নিবন্ধিত হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন।

তাপস কুমার/আরএআর