পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৫ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ না করায় ৩৭ কৃষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত পরোয়ানাভুক্ত ১২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। 

আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সবাই প্রান্তিক কৃষক। ঋণের টাকা পরিশোধোর পরও তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে কৃষকরা দাবি করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের শুকুর প্রামানিকের ছেলে আলম প্রামানিক (৫০), মনি মন্ডলের ছেলে মাহাতাব মন্ডল (৪৫), মৃত কোরবান আলীর ছেলে কিতাব আলী (৫০), হারেজ মিয়ার ছেলে হান্নান মিয়া (৪৩), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মজনু (৪০), মৃত আখের উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৫০), মৃত সোবহান মন্ডলের ছেলে আব্দুল গণি মন্ডল (৫০), কামাল প্রামানিকের ছেলে শামীম হোসেন (৪৫), মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে সামাদ প্রামানিক (৪৩), মৃত সামির উদ্দিনের ছেলে নূর বক্স (৪৫), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আকরাম (৪৬) ও লালু খাঁর ছেলে মোহাম্মদ রজব আলী (৪০)।  

ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তারা ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়েছিলেন। এই ঋণের বিপরীতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরবর্তীতে আদালত ৩৭ জন ঋণ গ্রতীতা কৃষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর প্রেক্ষিতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই প্রান্তিক কৃষক। ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে গত বুধবার আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতেই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন,তাদের ঋণের টাকা পরিশোধ আছে। মামলার বিষয়টি তারা জানতেন না। কেন মামলা হলো তারা তা জানেন না। 

সমবায় ব্যাংক পাবনা শাখার চেয়ারম্যান সাবির হাসান বাচ্চু বলেন, মামলাটি ঢাকা অফিস থেকে করা। এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমার এই মুহূর্তে জানা নেই। আপনারা সেন্ট্রালে খোঁজ নিতে পারেন।
                         
রাকিব হাসনাত/আরএআর