১০ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশের মতো পটুয়াখালীতেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। 

পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে শনিবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করায় ঢাকা-পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আগে থেকে না জানায় রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অনেক যাত্রীকে লঞ্চ ঘাটে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে। 

পটুয়াখালী শহরের শিশু পার্ক এলাকার বাসিন্দা আলামিন বলেন, শ্রমিকদের দাবি থাকতেই পারে, কিন্তু মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের কোনো যুক্তি নেই। জরুরি কাজে আজ ঢাকা যাওয়ার দরকার ছিল, সকালে কেবিন বুকিং করতে এসে জানতে পারলাম লঞ্চ বন্ধ। 

পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, এভাবে পূর্বঘোষণা ছাড়া লঞ্চ বন্ধ করাটা ঠিক হয়নি। আমরা কোথায় যাব। আগে থেকে জানালে কিছুটা সময় পাওয়া যায়।

সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের স্টাফ আমির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মালিকপক্ষকে বেতন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা আমাদের কোনো কথা শুনছেন না। আমাদের বেতন না বৃদ্ধি করা পর্যন্ত আমরা এভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখব।

প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চের শ্রমিক কালাম বলেন, সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। আমাদের বেতন যদি না বৃদ্ধি করা হয় আমরা না খেয়ে মারা যাব। মালিকপক্ষের কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের বেতন বৃদ্ধি করা হোক। 

পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, শ্রমিকদের কর্মবিরতির বিষয়ে সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সকালে ঢাকা থেকে এমভি সুন্দরবন-১৪ এবং এমভি প্রিন্স আওলাদ যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালী ঘাটে এসেছে। তবে আজ তারা যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে না। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

রায়হান/আরএআর