প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও জনসভাকে ঘিরে কক্সবাজারে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপজেলা থেকে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘ ছয় বছর পর আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ওইদিন প্রথমে ইনানীতে নৌবাহিনীর একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ৬ লাখ মানুষের সমাগমের লক্ষ্য নিয়ে আয়োজনের কর্মযজ্ঞ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে ইতোমধ্যে প্রচারণামূলক নানা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে কক্সবাজারকে দুহাত ভরে দিয়েছেন। কক্সবাজার এখন চকচক করে। আরও উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে গেলে অপূর্ণতা কিছু থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, জনসভায় কক্সবাজারবাসীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হবে। জেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে দাওয়াত কার্ড পৌাঁছানো হবে।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরন করার জন্য কক্সবাজারের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা আগামী নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের সাফল্য বয়ে আনবে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ব্যাপক খুশি হয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা এখন থেকে প্রস্ততি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিতে। আশা করছি ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত সকল নেতাকর্মীরা দলে দলে জনসভায় যোগ দেবেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরন করতে ছাত্রলীগের এক লাখ কর্মী থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছি।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম বলেন, জনসভাকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা ইতোমধ্যে স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন। সমাবেশস্থল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরাও কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। কয়েক লাখ মানুষের অবস্থান নিশ্চিত করতে কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামের পশ্চিম একাংশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

সাইদুল ফরহাদ/এমজেইউ