রান্না হচ্ছে সবজি খিচুড়ি

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের উদ্দেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের জন্য রান্না হচ্ছে সবজি-খিচুড়ি। সমাবেশের দুই দিন বাকি থাকলেও ইতোমধ্যে মাদরাসা মাঠে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন বলে বিএনপি নেতারা দাবি করেন। সমাবেশস্থলের পাশের ঈদগাহ মাঠে সকাল থেকে রান্না শুরু হয়েছে। একসঙ্গে রান্না, খাওয়া ও আড্ডা দেওয়াসহ সব মিলিয়ে সেখানে এখন উৎসবমুখর পরিবেশের বিরাজ করছে।  

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাহ মাঠে অস্থায়ীভাবে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোতে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। এছাড়া অনেকেই পদ্মার পাড়ে সময় কাটাচ্ছেন। ঈদগাহ মাঠের একপাশে বড় বড় হাঁড়িতে নেতাকর্মীদের জন্য রান্নার করছেন। সমাবেশে ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জায়পুরহাট, বগুড়া, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ থেকে আসা নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। 

রান্নার দায়িত্বে থাকা বাবুর্চি সেলিম জানান, সকাল থেকে রান্না শুরু করেছি। মাঠে ৬ থেকে ৭ জায়গায় রান্না হচ্ছে। রান্না শেষ হলে মাঠে থাকা যেকোনো নেতাকর্মী এই খাবার খেতে পারবেন। আপনারা দেখছেন মাঠের আশেপাশে অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। অনেকেই ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছেন। সবাই এক সঙ্গে মাটিতে বসে খাবার খাব। 

বিএনপির এক নেতা বলেন, আগামীকাল শনিবার সমাবেশ। বৃহস্পতিবার মানুষ চলে এসেছে। এটা জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা কষ্ট করে আগে বাসে চলে এসেছি।

রাজশাহী জেলা বিনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ মিডিয়া কমিটির মেম্বার গোলাম মোস্তোফা মামুন জানান, ইতোমধ্যে এক লাখ নেতাকর্মী এখানে এসেছেন। সমাবেশস্থলের পাশে ঈদগাহ মাঠে রান্না হচ্ছে। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় রান্না হচ্ছে। সেখান থেকে রান্না করা খাবার মাঠে নিয়ে আসা হবে। এখানে বেশিরভাগ নেতাকর্মীরাই রান্না করছেন। কোথাও বাবুর্চি দিয়ে রান্না করানো হচ্ছে।   

তিনি আরও বলেন, ঈদগাহ মাঠে সবজি খিচুরি রান্না হচ্ছে। এই খাবার নেতাকর্মীরা খাবেন। রান্না বিষয়গুলো জেলা ভিত্তিক ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এই মাঠে ১০ থেকে ১২ জায়গায় রান্না হচ্ছে।

এর আগে বিএনপির গণসমাবেশের জন্য বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ আটটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে। শর্তে বলা হয়- তিন ঘণ্টার মধ্যে বিএনপিকে রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ করতে হবে, মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ আগামী ৩ ডিসেম্বর সমাবেশের আগে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম ওই দিন দুপুর ২টা থেকে বিকেলে ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন- দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ বা আয়োজকদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে।

আরকে