৩ জনের যাবজ্জীবন, ২২ জনকে খালাস

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার লক্ষ্মীপুর গ্রামের দিনমজুর সুবীল কুনার দাস হত্যা মামলার তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলা থেকে ২২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে (১ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার রায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত লালু মন্ডলের দুই ছেলে লিয়াকত ওরফে ন্যাকো (৫৫) ও শওকত (৬০) এবং সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত কালু ফকিরের ছেলে সুলতান আলী ওরফে সুলতান আহমেদ (৬৫)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ৯ ডিসেম্বর রাতে সুলতান, লিয়াকত ও শওকতসহ কয়েকজন আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষীপুর গ্রামের সুনীল কুমার দাসের বাড়িতে যান। এ সময় সুনীল কুমার দাসকে চাদর মুড়িয়ে বেঁধে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন তারা। পরবর্তীতে নিহত সুনীল কুমারের ভাই অনিল কুমার দাস আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটের ২৫ জন আসামির মধ্যে ইতোমধ্যে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং পলাতক হিসেবে আছেন ১৩ জন। দীর্ঘ প্রায় ২৯ বছর পর ১০ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলা থেকে ২২ জনকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়। 

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দীন ঢাকা পোস্টেকে বলেন, জমি-জমার বিরোধে জের ধরে ১৯৯৩ সালের ৯ ডিসেম্বর রাতে সুনীল কুমারের বাড়িতে গিয়ে তাকে গায়ে চাদর পেঁচিয়ে বেঁধে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ মামলার ১০ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলা থেকে ২২ জনকে খাসাল দেওয়া হয়েছে।

আফজালুল হক/আরকে