বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ফুটবলার লিওনেল মেসির হাতে আঁকা সবচেয়ে বড় ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। সৃষ্টিশীল প্লেমেকারের ছবি দেখতে ভিড় করেছেন পর্যটক ও তার ভক্তরা। 

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ছবিটির প্রদর্শনীর আয়োজন করে চিত্রশিল্পী তারিকুল ইসলাম ও হাসিঘর ফাউন্ডেশন কক্সবাজার। 

আয়োজকরা বলছেন, কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় ছবি সাদা কাপড়ে অ্যাক্রলিক রং দিয়ে আঁকা হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ৩৪ ফিট এবং প্রস্থ ২২ ফিট। তাদের দাবি কাপড়ে আঁকা এই ছবিটি হবে বিশ্বের মধ্যে হাতে আঁকা মেসির সবচেয়ে বড় ছবি। এই ছবিটিতে আকাশের সাত রং ব্যবহার করা হয়েছে।

চিত্রশিল্পী তারিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মেসির সবচেয়ে বড় ছবিটি ছাড়াও ক্ষুদ্র ছবি মিষ্টি কুমড়া বীজে আঁকা আটটি ছবি রয়েছে। একক শিল্পকর্মের মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এর আগে শেখ হাসিনা ইয়ুথ এওয়ার্ড–২০২২' অর্জন এবং 'এশিয়া বুক অফ রেকর্ড'- স্থান পেয়েছে আমার শিল্পকর্ম। এছাড়া আমি দুটি একক চিত্রপ্রদর্শনী করেছি।

মেসির ভক্ত কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রবিউল আলম বলেন, লা লিগা (১৮৩) এবং কোপা আমেরিকার (১২) ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাকারীর কৃতিত্বেরও মালিক। জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে তিনি ৭০০ এর অধিক পেশাদার গোল করেছেন। পাশাপাশি মেসি একজন সৃষ্টিশীল প্লেমেকার হিসেবেও পরিচিত। সেই ভক্ত আমি। যার ছবি আঁকা প্রথমবার দেখছি। ভালো লাগছে।

রাজশাহী থেকে আসা রাজিব হাসান ও রুমানা দম্পতি বলেন, মেসির ছবি প্রদর্শনীর খবর শুনে ছুটে এসেছি। বেড়াতে এসে সমুদ্র দর্শনের সঙ্গে অতিরিক্ত পাওয়া মেসির ছবির পাশে নিজেকে ক্যামরাবন্দি করতে পারা।

রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আফরা রুমালি অতই বলেন, আমি যদিও ব্রাজিল সমর্থক। কিন্ত নিঃসন্দেহে মেসি একজন ভালো ফুটবলার। অন্যদের মতো আমিও তার ছবির পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করেছি। 

ছবিটির কারিগর বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী মো. আব্দুল কাফি প্রামাণিকের ছেলে মো. তারিকুল ইসলাম। ছবি আঁকার হাতে খড়ি বড় ভাই তাজমিনুর রহমান তাজের মাধ্যমে। বর্তমানে রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে চারু ও কারুকলা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।

সাইদুল ফরহাদ/এমএএস