খুলনায় ‘গায়েবি’ মামলা, আসামি বিএনপির ২ সদস্য সচিবসহ ৮০ নেতাকর্মী
শফিকুল আলম তুহিন ও মনিরুল হাসান বাপ্পি
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলা দায়ের করেছে সদর থানা পুলিশ। টেলিযোগাযোগ তথা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতার অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাতে খুলনা সদর থানার এস আই শাহীন কবির বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন- মো. হোসেন, মো. ইয়াসিন সানা, মো. মিরাজ হাওলাদার, শফিকুল আলম তুহিন, মো. ইসতিয়াক আহম্মেদ ইস্তি, মনিরুল হাসান বাপ্পি, মো. মাসুদ পারভেজ বাবু, হেলাল আহম্মেদ সুমন, মো. মাসুদ খান বাদল , এবাদুল হক রুবায়েত, মো. মতিউর রহমান বুলেট, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, মাহমুদ হাসান বিপ্লব , রবিউল ইসলাম রবি, মো. শফিকুল ইসলাম শফি, মফিজুল সরদার, বেলাল হোসেন গাজি, হেলাল হোসেন গাজী, মো. ফরিদ মোল্যা, গাউস ওরফে কুলি গাউস, পাভেল, জামাল, ইয়াকুব, খাইরুজ্জামান সজিব, রাজ্জাক, মো. আসাদুজ্জামান মিঠু, মো. আলতাফ, রুম্মান, মো. জাহিদ, মো. রাজিব, জি এম তারেক, টুকু, কালু, আলাউদ্দিন, মো. তাজিম বিশ্বাস, রাসেল, আরিফ ও রমজানসহ অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে অভিযুক্তরা বর্তমান সরকার উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে খুলনার টেলিকমিউনিকেশন ভবন (কেপিআই) ধ্বংসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ তথা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতা করার উদ্দেশে সমবেত হয়।
বিজ্ঞাপন
খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩টি ককটেলসহ তিনজনকে আটক করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, সবই ‘গায়েবি’ মামলা। ৩ ডিসেম্বর রাতে এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ‘গায়েবি’ ঘটনা উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশে নেতাকর্মীরা যেন না যেতে পারে সেজন্য এভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে।
মোহাম্মদ মিলন/আরকে