মরমি কবি হাছন রাজার শততম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার (০৬ ডিসেম্বর)। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সুনামগঞ্জে নেই কোনো আয়োজন। অনেকটা নীরবেই কাটছে তার মৃত্যুবার্ষিকী। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন হাছন রাজা মিউজিয়াম দেখতে আসা দর্শনার্থীরা।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জের লক্ষ্মণশ্রী গ্রামের জমিদার দেওয়ান আলী রাজার ছেলে হাছন রাজা। তিনি ৩ হাজারেরও বেশি গান রচনা করেছেন। যে গানগুলো এখন দেশ ছাড়িয়ে বাইরেও চর্চা হয়।

হাছন রাজা জমিদার হয়েও অতি সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। প্রথম জীবনে তিনি ভোগবিলাসী হলেও পরবর্তী সময়ে তিনি স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করার চেষ্টা করেছেন। আর তাই তার প্রায় প্রতিটা সৃষ্টিকর্মে আধ্যাত্মিকতা প্রকাশ পেয়েছে। তার প্রত্যেক গানে তিনি স্রষ্টাকে দর্শনের কথা বলেছেন।

হাছন রাজা রচনা করেছেন ‘লোকে বলে বলে রে ঘর-বাড়ি বালা না আমার, বাউলা কে বানাইল রে হাসন রাজারে বাউলা কে বানাইল, নেশা লাগিল রে, আমরা মাঝত বাহির হইয়া দেখা দিল আমরারে, আপনার রূপ দেখিলাম রে সহ  অসংখ্য বিখ্যাত গান।

হাছন রাজার জন্ম ১৮৫৪ সালের ২৪ জানুয়ারি এবং মৃত্যু ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর। ৬৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জানা গেছে, প্রতি বছর হাছন রাজা ট্রাস্ট্র তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পুরো জেলায় সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু শততম মৃত্যুবার্ষিকী কাটছে একদম নীরবেই। 

জেলা সংস্কৃতি কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল বলেন, আমরা হাওর পাড়ের গল্পের সঙ্গে হাছনরাজার অনুষ্ঠান সংযুক্ত করে করব। এছাড়া হাছন রাজার শততম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ করে রাখতে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাবনা শিল্পকলা একাডেমির কাছে পাঠিয়েছি। 

সোহানুর রহমান সোহান/এসপি