সুমাইয়া পারভীন উষা

সিরাজগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বাদী নিজেই ফেঁসে গেছেন। মিথ্যা মামলা করায় সুমাইয়া পারভীন উষার (২৫) বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে মামলা দায়েরের পর বাদীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সয়াগোবিন্দ রোডস্থ (থানা রোড) নিজ বাড়ি থেকে উষাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একই মহল্লার মো. বেলাল হোসেনের মেয়ে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২৮ মার্চ উষা মো. হৃদয় শেখ ওরফে পাপ্পুর (২৫) নামে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। বাদীর দায়েরকৃত মামলার সত্যতা প্রমাণের জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দেন। 

এর প্রেক্ষিতে পিবিআই সিরাজগঞ্জ এর উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. রায়হান আলী শেখ মামলার বাদী সুমাইয়া পারভীন উষাসহ পাঁচজনের জবানবন্দি গ্রহণ করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা জবানবন্দি পর্যালোচনা করে মামলাটি মিথ্যা মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। 

পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মো. নাসিরুল হক আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর থানাকে নির্দেশ দেন। 

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সুমাইয়া পারভীন উষার বিরুদ্ধে গত ১ ডিসেম্বর মো. হৃদয় শেখ বাদী হয়ে সদর থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সোমবার রাতে উষাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হুসাইন আলী বলেন, সুমাইয়া পারভীন উষার নারী ও শিশু দমন আইনে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মিথ্যা মামলা করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় তাকে আটক করে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুভ কুমার ঘোষ/আরকে