দুই কৃষি কর্মকর্তা

এক চেয়ার কিন্তু কর্মকর্তা দুজন। এক পদেই একজন সকাল থেকে দুপুর আর অন্যজন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এভাবেই চলছে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয়। এ নিয়ে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনা ও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। ব্যহত হচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ কাজ। নতুন কর্মকর্তা যোগদান করলেও ক্ষমতার বলে চেয়ার না ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে অপর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর খামারবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনি খানকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন শেখের সঙ্গে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ গত ২৮ নভেম্বর জনি খানকে রাজবাড়ীতে পদায়ন ও বাহাউদ্দিন শেখকে অবমুক্ত করে চিঠি ইস্যু করেন। ওই দিনই রাজবাড়ী সদর উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে জনি খান যোগদান করেন। কিন্তু সদ্য বদলিকৃত বাহাউদ্দীন শেখ জনি খানকে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো আগের মতোই অফিস করতে থাকেন।

সদ্য যোগদানকৃত রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনি খান বলেন, আমি গত ২৮ নভেম্বর বদলির আদেশ পেয়ে রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে যোগদান করি। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দীন শেখ এখন পর্যন্ত আমাকে আমার দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে তিনি বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করছেন। আমি সকালে অফিসে বসলেও বিকেলে গিয়ে দেখি বদলিকৃত কৃষি অফিসার বাহাউদ্দিন আমার চেয়ারে বসে আছেন। দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা বললে তিনি কর্ণপাত করছেন না।

সদ্য বদলিকৃত উপজেলা কৃষি অফিসার বাহাউদ্দিন শেখ বলেন, আমার বদলির আদেশ হয়েছে। তবে এখনো দায়িত্ব হস্তান্তর করিনি। আ‌মি এখন পর্যন্ত নিয়মিত অফিস করে আস‌ছি।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম শহীদ নূর আকবর বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার বদলিকৃত কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন শেখ গত ২৮ নভেম্বর নতুন কর্মকর্তা জ‌নি খান‌কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাক‌লেও তি‌নি নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝি‌য়ে না দিয়ে অফিসের বাইরে অবস্থান করেন। এ পর্যন্ত অফিসের সকল দা‌য়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। সাবেক কৃ‌ষি কর্মকর্তা বাহাউ‌দ্দিন শেখ অ‌ফি‌সের আদেশ অমান্য ক‌রেই জোড়পূর্বক অফিস করছেন। এ‌ বিষয়‌টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

মীর সামসুজ্জামান/আরকে