নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের আটকের প্রতিবাদে পাবনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন নেতাকর্মীরা। বুধবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরের খেয়াঘাটস্থ কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে আব্দুল হামিদ রোডসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বড় বাজারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। 

সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় মহাসমাবেশ বানচালের জন্য সরকার ও সরকারের পুলিশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়েছে। শত শত নেতাকর্মীর বুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে। পাবনার গণমানুষের নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

তারা আরও বলেন, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আন্দোলনকে দমানো যাবে না। মানুষ এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে ফেলেছে। মানুষ রাস্তায় নেমেছে, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। অবিলম্বে শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।

পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাস্টার, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম মুসা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলাল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রিন্সসহ শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী-আমান উল্লাহ আমানসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। ঘটনার পর তাৎক্ষণিক দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের বিষয়ে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, বিএনপি অফিসে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। তারা বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে।

রাকিব হাসনাত/আরএআর