ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সৈয়দ বালা মিয়া (৪০) নামে এক ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. ছিদ্দিক মাতুব্বরকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ময়েনদিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মারধরের শিকার সৈয়দ বালা উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য। আর গ্রেপ্তারকৃত মো. ছিদ্দিক মাতুব্বর একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ইউপি সদস্যদের নিয়ে চেয়ারম্যান মান্নান মাতুব্বর জরুরি মতবিনিময় সভা করেন। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত শিশু কার্ড ও রেশন কার্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত চেয়ারম্যানের ভাই ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিক মাতুব্বর ও চেয়ারম্যানের ছেলে মাসুদ মাতুব্বর চেয়ারম্যানের নিকট প্রতিটি শিশু কার্ডধারীদের নিকট থেকে নগদ দুই হাজার টাকা নেওয়া এবং রেশন কার্ডধারীদের ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৭ কেজি চাল দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ বালা মিয়ার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ছিদ্দিক মাতুব্বর। এসময় হইচই শুনে সিদ্দিক মাতুব্বরের ভাতিজা শাহিন মাতুব্বর, শিমুল মাতুব্বর ঘটনাস্থলে এসে ইউপি সদস্য সৈয়দ বালাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বোয়ালমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তার বাবা মজিবর রহমান মামলা করেন। মামলায় মো. ছিদ্দিক মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ছিদ্দিক মাতুব্বরের তিন ভাতিজা শাহিন মাতুব্বর, শিমুল মাতুব্বর ও মাসুদ মাতুব্বরকে আসামি করা হয়। ছিদ্দিক মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করে আজ ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জহির হোসেন/এমজেইউ