লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের প্রধান আসামি রকিবুল ইসলাম ফরাজিসহ (৫৭) চার জনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) নড়াইলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পিবিআই যশোর।

আটককৃতরা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর ফরাজির ছেলে রকিবুল ইসলাম ফরাজি, যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধুলগ্রামের বর্তমানে খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা গ্রামের আরশাদ আলীর স্ত্রী হাফিজা বেগম (৫৫), মেয়ে শিরিন আক্তার (৩৫) এবং সুমনা আক্তার (২৯)।

পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, আটককৃত আসামিরা নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম মৃধার ছেলে নাঈম মৃধা (২৫) এবং ভাগ্নে জহিরুল ইসলামকে (২৫) চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পাঠায়। তদন্ত করে দেখা গেছে, মা হাফিজা ও মেয়ে সুমনার অ্যাকাউন্টে মার্চ মাসে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

মূলত লিবিয়া থেকে ইতালি গেলে তাদেরকে এক লাখ টাকা বেতন দেওয়া হবে বলে কালিয়ার এক ব্যক্তি প্রস্তাব দেয়। তারা এতে রাজি না হওয়ায় লিবিয়ার অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে নাঈম ও জহিরুলের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় এবং পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে আসামিরা। বাধ্য হয়ে রবিউল মৃধা বিভিন্ন মাধ্যমে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেয়।

এরপর থেকে ছেলে ও ভাগ্নের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না রবিউল মৃধা। পরে তিনি অভিযুক্ত চারজনের নামে একটি মামলা করেন। পিবিআই যশোরের সদস্যরা শনিবার তাদের আটক করে নড়াইল আদালতে পাঠালে তারা বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ্যান্টনি দাস অপু/টিএম